সাকিবকে ‘মালিঙ্গা’ বলে খোঁচা কোহলির

সাকিবকে ‘মালিঙ্গা’ বলে খোঁচা কোহলির

সময়টা মোটেও উপভোগ্য নয় বিরাট কোহলির জন্য। কারণ ব্যক্তিগতভাবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান চেন্নাই টেস্টে। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন বড় ইনিংস গড়ার আগে। দুই ইনিংসে কোহলি যথাক্রমে ৬ এবং ১৭ রানে আউট হয়েছেন। এরই মাঝে মজার এক কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসানকে খোঁচা দিয়েছেন ‘মালিঙ্গা’ বলে।

সময়টা মোটেও উপভোগ্য নয় বিরাট কোহলির জন্য। কারণ ব্যক্তিগতভাবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান চেন্নাই টেস্টে। দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন বড় ইনিংস গড়ার আগে। দুই ইনিংসে কোহলি যথাক্রমে ৬ এবং ১৭ রানে আউট হয়েছেন। এরই মাঝে মজার এক কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসানকে খোঁচা দিয়েছেন ‘মালিঙ্গা’ বলে।

ক্রিকেট ভক্তদের জানা কথা– মাঠে বিরাট কোহলির উপস্থিতি সবসময়ই দলকে চাঙ্গা রাখে। ঋষভ পান্তের মতো তিনিও কিছু না কিছু বলে কখনও সতীর্থদের কিংবা কখনও মাতিয়ে রাখেন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের। অবশ্য ব্যাটিংয়ের সময় তাকে খুব বেশি কথা বলতে দেখা যায় না। হয়তো মনোযোগ হারাতে চান না ওই সময়। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে কৌতুক করলেন সাকিবের সঙ্গে। ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোহলি সাকিবের বলের মুখোমুখি হয়েছেন। যেখানে ১৫তম ওভারের শেষ দুই বলে এই ব্যাটারকে বেশ সংগ্রাম করতে দেখা যায়। 

শেষ দুটি ডেলিভারি ফুল লেংথে করেন সাকিব। বিপরীতে শট খেলার জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি করেও ব্যর্থ হন কোহলি। স্ট্রেট ব্যাটে খেলতে না চাইলেও বল দুটিই যায় সাকিবের বরাবর। এর ভেতর প্রথমটি বাম্প ক্যাচও যায়। হঠাৎ দেখে মনে হয়েছিল সাকিব ক্যাচ ধরেছেন কি না। এরপর দ্বিতীয় ডেলিভারিও কার্যত একই। সেটিও সাকিবের হাতেই যায়। পরে ১৫তম ওভার শেষে সেই দুটি ইয়র্কার নিয়ে মজা করেন কোহলি। তখন তিনি নন-স্ট্রাইকারে, আর সাকিব ক্লোজ ইনে ফিল্ডিং করছিলেন। হঠাৎই সাকিবের উদ্দেশে মজার ছলে কোহলি বলেন, ‘কি মালিঙ্গা হয়ে গেলে নাকি! একের পর এক ইয়র্কার দিচ্ছিলে।’ সাকিব প্রথমে বুঝতে পারেননি, বোঝার পরই হাসতে থাকেন।

পরে অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি এই ভারতীয় তারকা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লু হয়ে আউট হন ১৭ রান করে। তবে সেটি আদতে আউট ছিল না। আউট হয়ে ফেরার পর রিপ্লেতে দেখা যায়, ফুল লেংথে ফেলা বলটি কোহলির প্যাডে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়ে যায়। কিন্তু রিভিউ না নেওয়ায় প্যাভিলিয়নে ফিরে হয়তো আক্ষেপে পুড়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যা দেখে স্বাগতিক অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও আফসোস করতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে সাময়িক বিরতির পর প্রত্যাবর্তনটা খুব একটা ভালো হয়নি কোহলির। বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর আর লাল বলে খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শুরুতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, চেন্নাইয়ের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে বিরাটের। নেটে তিনি বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন। ম্যাচেও তেমনই চেষ্টা করেন। যদিও কভার ড্রাইভের লোভে প্রথম ইনিংসে উইকেট হারাতে হয় তাকে।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হলো না। দলীয় মাত্র ২৮ রানেই স্বাগতিকরা রোহিত ও আগের ইনিংসে ফিফটি করা যশস্বী জয়সওয়ালকে হারায়। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন কোহলি ও শুভমান গিল। দুজন মিলে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। এরপরই মিরাজের অফস্পিনে হোঁচট খান কোহলি।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *