পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন যে জোট সরকার বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতাসীন রয়েছে, তা আর মাত্র দু’মাস টিকে থাকতে পারবে বলে মনে করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন যে জোট সরকার বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতাসীন রয়েছে, তা আর মাত্র দু’মাস টিকে থাকতে পারবে বলে মনে করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থত হওয়ার জন্য কারাগার থেকে বের করা হয়েছিল ইমরান খানকে। সে সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “এই সরকার চোরাবালিতে আটকা পড়েছে; যদিও তারা তা বুঝতে পারছে না, কারণ এই সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে একদল নির্বোধ।”
“আমি আজ এই জেল থেকে বলছি, এই সরকারের মেয়াদ আর মাত্র দু’মাস। দু’মাসের বেশি এই সরকার টিকতে পারবে না।”
বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান। তার আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
বর্তমানে ২০২৩ সালের ৯ মে’র দাঙ্গায় ইমরান খানের সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত মামলার বিচারকাজ শুরু শুরু হয়েছে। আদিয়ালা কারগারের ভেতরেই বসেছে আদালতের বেঞ্চ। ইমরান খানকে ইতোমধ্যে দাঙ্গার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে ইমরান খান বলেছেন, ৯ মে’র দাঙ্গায় তার দল পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল— এমন প্রমাণ যদি রাষ্ট্রপক্ষ দেখাতে পারে, কেবল তাহলেই ক্ষমা চাইবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার ওপর মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমি উন্মাদ নই যে দলের কর্মীদের দাঙ্গা সৃষ্টির নির্দেশ দেবো। তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) এখনও আমার সামনে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।”
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ যদি প্রমাণ হাজির করে, সেক্ষেত্রে কী করবেন— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে ইমরান খান বলেন, “সেক্ষেত্রে আমি পিটিআই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবো এবং আদালত যে সাজা দেবেন, তা মাথা পেতে গ্রহণ করব।”
সূত্র : জিও টিভি
এসএমডব্লিউ