ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পত্তির লোভে জাহানারা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা মাকে তিন মাস একটি তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন তার ছেলেরা। খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে সেনাবাহিনীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার ও তার টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গোকর্ণ ঘাট এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সন্তানদের কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পত্তির লোভে জাহানারা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা মাকে তিন মাস একটি তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন তার ছেলেরা। খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে সেনাবাহিনীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার ও তার টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গোকর্ণ ঘাট এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সন্তানদের কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
উদ্ধার হওয়া জাহানারা বেগম গোকর্ণ ঘাট ৭নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী মোহাম্মদ আবদু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ৯ ছেলে ও তিন মেয়ের জননী।
জানা যায়, জাহানারা বেগমের ৯ ছেলে। বড় ছেলে মোখলেসুর রহমান ছাড়া বাকি আট ছেলে তার মাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তিন মাস যাবৎ একটা ঘরে বন্দি করে রাখে, এমন কী ঠিকমতো খাবার দেওয়া হতো না। মাঝে মাঝে জাহানারা বেগমকে রাতে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিত।
অভিযুক্ত ছেলেরা হলেন, রুবেল (৫০), আলকাস (৪৪), লোকমান (৪০), মোহাম্মদ রমজান (৩৮), জুবায়ের (৩৬), আব্বাস (৩৪), জুয়েল মিয়া (৩১) ও মোজাম্মেল (২৭)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. দিদারুল আলম দিদার বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং তালাবদ্ধ একটা কক্ষ থেকে জাহানারা বেগম নামের ভদ্রমহিলাকে উদ্ধার করি। পরে ভদ্রমহিলাসহ তার ছেলেদের সদর আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসি। এ সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ ও জাহানারা বেগমের দেবর মোহাম্মদ কুদ্দুস মিয়াকেও খবর দিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে আসি।
তিনি বলেন, তাদের উপস্থিতিতে সকল সন্তানদেরকে তাদের মায়ের সামনে উপস্থিত করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব ছেলেরাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পরে তারা মা জাহানারা বেগমের কাছে কান ধরে ওঠবস করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় মা জাহানারা বেগমের অনুরোধে সন্তানদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাজহারুল করিম অভি/আরকে