সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়রানি, বসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আল্টিমেটাম

সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়রানি, বসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আল্টিমেটাম

ছাত্র ও সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ছাত্র ও সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বসিকের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বরাবর সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সকল বিভাগের ৩৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাক্ষর দিয়ে ওই দাবি জানান। এর অনুলিপি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকেও দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন। হয়রানি বন্ধে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।  

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে। সহস্রাধিক ছাত্র জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরিতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তান-স্বজনরা সহযাত্রী ছিল। কিন্তু গুটি কয়েক বিপথগামী ছাত্র পরিচয় দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ওই ছাত্ররা নগর ভবনের বিভিন্ন শাখার প্রধানদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও আইন বর্হিভূত কাজের জন্য চাপ দিচ্ছে।

তারা হাট বাজারশাখার সুপারিটেনডেন্টকে রুপাতলী ও সাগরদী বাজারের খাজনা উত্তোলন করার জন্য সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া এক ছাত্রের আত্মীয়কে দেওয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। সুপারিনটেনডেন্ট তাতে অস্বীকৃতি জানালে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে সুপারিনটেনডেন্টকে হয়রানি করে। অবৈধ উচ্ছেদ শাখার শাখা প্রধানকে জলাশয়, পুকুর, ডোবা, বালু দিয়ে ভরাটের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। আইনে জলাশয় পুকুর, ডোবা ভরাটের আইনগত বিধান নাই বলে জানালে সেই সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ছাত্র টাকার বিনিময়ে হলেও ভরাট করার প্রস্তাব দেন।

সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ওই চক্রটি বিভিন্ন শাখায় গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাজিরা খাতা এবং গোপনীয় নথিপত্র দেখতে চান। বর্তমান প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা ও প্রশাসককে জড়িয়ে বিভিন্ন দরণের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। মূলত ছাত্র নামধারী সমন্বয়কদের অযৌক্তিক দাবি না মেনে নেওয়ায় প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি তোলা হচ্ছে।

এসব সুযোগসন্ধানী নামধারী সমন্বয়কদের হয়রানির বিরুদ্ধে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সিটি কর্পোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার সকালে ছাত্র পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তরুণ সিটি কর্পোরেশনের গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহীর অপসারন চেয়ে ওই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *