ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ধন সম্পদের ক্ষেত্রে যদি সমতা প্রতিষ্ঠা করা না হয়, তাহলে শুধু ভোটাধিকার দিয়ে তেমন কিছুরই পরিবর্তন ঘটানো যায় না। আমরা সমাজেও তাই দেখতে পাই। বড় লোকেরা শুধু নির্বাচিত হতে পারে। আর গরিবদের কাজ শুধু এই পক্ষকে ভোট দাও, নয়তো অন্য পক্ষকে ভোট দাও। গণতন্ত্রের ধারণাকে যদি ভোটের অধিকার থেকে সরিয়ে আনি তাহলে সবাইকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সর্বশেষ যে আন্দোলন হলো সেটাও গণতন্ত্রের একটি উদাহরণ।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ধন সম্পদের ক্ষেত্রে যদি সমতা প্রতিষ্ঠা করা না হয়, তাহলে শুধু ভোটাধিকার দিয়ে তেমন কিছুরই পরিবর্তন ঘটানো যায় না। আমরা সমাজেও তাই দেখতে পাই। বড় লোকেরা শুধু নির্বাচিত হতে পারে। আর গরিবদের কাজ শুধু এই পক্ষকে ভোট দাও, নয়তো অন্য পক্ষকে ভোট দাও। গণতন্ত্রের ধারণাকে যদি ভোটের অধিকার থেকে সরিয়ে আনি তাহলে সবাইকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সর্বশেষ যে আন্দোলন হলো সেটাও গণতন্ত্রের একটি উদাহরণ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে সাহিত্য আন্দোলন ‘ধাবমান’-এর উদ্যোগে আয়োজিত গণতান্ত্রিক বিপ্লবে জাতীয় সংবিধানের রূপরেখা শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেধা একটি স্বাধীন শক্তি। কেউ মেধা নিয়ে জন্মায়। আবার কেউ মেধা নিয়ে জন্মায় না। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। আগের ইতিহাস ও পরের ইতিহাস মিলিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় মেধা একমাত্র কোনো কারণ নয়। অর্থাৎ আমরা মেধাকে স্বাধীন শক্তি মনে করি এটা নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সপ্তম শ্রেণিতে ক্যাডেট কলেজে যদি আমি ভর্তি হই তাহলে আমাকে শৃঙ্খলার সঙ্গে যে পড়াশোনা করানো হবে। তাতে আমার পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনাটা বেড়ে যাবে। প্রমাণ হবে আমি মেধাবী বেশি। আবার ক্যাডেট কলেজে সবসময় মেধাবীদের ভর্তি করানো হয়ে থাকে। কিন্তু এর আগে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মেধার বিচার করা হয়। তাই আমি মনে করি, গণতন্ত্রকেও আগে একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। গণতন্ত্রকে ন্যায়ভিত্তিক হতে হবে। ন্যায় মানে যার যার প্রাপ্য তাকে তাকে দিতে হবে।
ড. সলিমুল্লাহ বলেন, গত ১৫ বছর আপনারা ঠিকমতো ভোট দিতে পারেন নাই তা সত্য। আপনাদের কাছে সেটাই মনে হবে দেশের বড় সমস্যা। কিন্তু তার পিছনে অনেক সমস্যা রয়েছে। ভোট দিয়ে অনেক কিছুই হচ্ছে না। অনেক কিছু ভোটের আওতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশে নতুন করে যেভাবে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তা রক্ষা করতে হলে আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তা না হলে যেকোনো মুহূর্তে এটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমাদের মূল দাবি হবে সবার জন্য সমান অধিকার। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
পিএইচ