ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে তেহরানের হাতে থাকা সব ধরনের সরঞ্জামের ব্যবহার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে তেহরানের হাতে থাকা সব ধরনের সরঞ্জামের ব্যবহার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরান ও অন্য দুটি প্রদেশে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত হয়েছে জানায় তেহরান। ওই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক দাবানলের আশঙ্কা প্রকাশ করে উত্তেজনা অবসানের আহ্বান জানান। ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর চার সৈন্য ও এক বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাঘাই বলেছেন, ‘‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে একটি সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকর জবাব দেওয়ার জন্য উপলব্ধ সব ধরনের সরঞ্জামের ব্যবহার করবে ইরান।’’
তিনি বলেছেন, ইরানের জবাব দেওয়ার ধরন নির্ভর করছে ইসরায়েলি হামলার ধরনের ওপর। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেননি তিনি।
এদিকে, রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, কীভাবে ইসরায়েলের কাছে ইরানের শক্তি প্রদর্শন করা যায়, সেই বিষয়টি ইরানি কর্মকর্তাদের নির্ধারণ করা উচিত। ইসরায়েলি হামলাকে ‘‘ছোট করে দেখা কিংবা অতিরঞ্জিত করা উচিত নয়’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, শনিবার ভোরের দিকে তেহরান এবং পশ্চিম ইরানের পার্শ্ববর্তী দুটি প্রদেশের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় তিন দফায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চিরশত্রু ইরান এবং ইসরায়েল গত কয়েক মাস ধরে হামলা-পাল্টা হামলায় লিপ্ত রয়েছে। এসব হামলার জেরে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের তেল আবিব-সহ কয়েকটি অঞ্চলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তেহরানের ওই হামলার জবাবে শনিবার ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের দুই মিত্র হিজবুল্লাহ এবং হামাসও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে, ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে করছে।
সূত্র: এএফপি।
এসএস