সড়কের শৃঙ্খলায় শিক্ষার্থী-স্বেচ্ছাসেবকরা, স্বস্তিতে জনগণ

সড়কের শৃঙ্খলায় শিক্ষার্থী-স্বেচ্ছাসেবকরা, স্বস্তিতে জনগণ

খুলনার সড়কগুলোতে নেই ট্রাফিক পুলিশ। তবুও যানবাহন চলছে সুশৃঙ্খলভাবে। শহরের সড়কে বিশৃঙ্খলারোধে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে শহরের যান চলাচলে গতি ফিরেছে। নেই শহরের চিরচেনা সেই যানজট, ফলে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। একইসঙ্গে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খুলনার মানুষের জীবনযাত্রা। শুধু ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকাই নয়, তারা কাজ করছেন শহরের

খুলনার সড়কগুলোতে নেই ট্রাফিক পুলিশ। তবুও যানবাহন চলছে সুশৃঙ্খলভাবে। শহরের সড়কে বিশৃঙ্খলারোধে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে শহরের যান চলাচলে গতি ফিরেছে। নেই শহরের চিরচেনা সেই যানজট, ফলে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। একইসঙ্গে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খুলনার মানুষের জীবনযাত্রা। শুধু ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকাই নয়, তারা কাজ করছেন শহরের অরাজকতা ও লুটপাট বন্ধ এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতায়ও।

বুধবার (৭ আগস্ট) খুলনা মহানগীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মেলে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খুলনার শিববাড়ি মোড়, নিউমার্কেট মোড়, ময়লাপোতা, নতুন রাস্তা মোড়, দৌলতপুর, বয়রা, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনে, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়, গল্লামারীসড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এসব স্থানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কাজ করছে ইসলামী আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা। তারা ট্রাফিক পুলিশের মতো লাঠি হাতে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের উপহার দিচ্ছেন ফল, পানি, জুসসহ নানা ধরনের খাবারও। 

এ ছাড়াও সড়কের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। নগরীর বিভিন্ন সড়ক এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা খুলনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় কাজ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। 

শিক্ষার্থীরা জানান, শহরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল। এ কারণে তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছেন। সড়কের সৌন্দর্য ফেরাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও করছেন তারা।

নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছিলেন খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের এইচএসএসি পরীক্ষার্থী সাদ মোল্লা। সে ঢাকা পোস্টকে বলে, আমরা সকাল ৯টা থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে কাজ করছি। ট্রাফিক পুলিশ যেভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতো। আমরা চেষ্টা করছি, হয়তো সেভাবে পারি না কিন্তু যতোদূর সম্ভব চেষ্টা করছি। যানজট নেই বললেই চলে। অনেকেই আমাদের উৎসাহিত করছেন। অনেকেই আমার সেলুট করছেন। অনেক মা-বোনেরা আছে পানি, বিস্কুট দিয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য অসংখ্য ভালোবাসা। আমরা যেন দেশকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেই চেষ্টাই করবো।

সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তানজিমা আক্তার বলেন, সকালে যখন এসেছিলাম চারজন ছিলাম। পরে অন্য ভাইয়েরাও এসেছেন। সবাই মিলে সড়কে কাজ করছি। আমাদের দেশ আমাদের সড়ক, শৃঙ্খলা আমাদেরই বজায় রাখতে হবে।

খুলনা সদর থানা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি মো. মাহাবুবুল হক বলেন, আমরা এসেছি সবাই যেন ট্রাফিক আইন ও নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলে সে ব্যাপারে সচেতন করতে। পাশাপাশি যারা হেলমেট পড়ছে না, তাদের হেলমেট পড়তে উদ্বুদ্ধ করছি।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান মুন্না বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। আমরা নিরাপদ সড়ক চাইয়ের পক্ষ থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও সহযোগিতা করছি। 

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *