সচিবালয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল

সচিবালয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয় যাবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছেড়ে যাবেন না বলেও এসময় হুঁশিয়ারি দেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয় যাবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছেড়ে যাবেন না বলেও এসময় হুঁশিয়ারি দেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, জুলাই মাসের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমরাও বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে আন্দোলন করেছি। স্বৈরাচার বিদায় হওয়ার পর সরকার গঠন করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা সরকারে গেছেন‌। আমাদের দাবি আদায়ে গতকাল ৮ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলাম। অথচ তাদের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ আসেনি। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো অন্যদের মতো আপনারাও ক্ষমতায় গিয়ে অতীতের সব কিছু ভুলে গেছেন। আমাদের আন্দোলনে তো আপনাদের দেখলাম না। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দুটো কথা বলতেও আপনাদের পক্ষ থেকে কেউ আসেননি।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যাবো আমাদের দাবি আদায় করতে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছেড়ে যাবো না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর। যা অন্তত দেড় শতাধিক দেশে বাস্তবায়ন ঘটানো হয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশেও এটি বাস্তবায়ন করা হোক।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায় না হলে শাহবাগ ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে ছিলেন আন্দোলনকারীরা।

এসময় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেওয়ায় শাহবাগ মোড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের সব সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নানা কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন।

এমএইচএন/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *