সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালীতে বাজার মনিটরিংয়ে ডিসি

সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালীতে বাজার মনিটরিংয়ে ডিসি

পটুয়াখালীতে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় অসাধু চার ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পটুয়াখালীতে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় অসাধু চার ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় শহরের পৌর নিউমার্কেট এলাকায় কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস ও ফলের বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বিশেষ করে কাঁচা বাজারের সিন্ডিকেট বন্ধে ফড়িয়াদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক মো.  আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা পোস্টে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ে ‘বাজারে ফড়িয়াদের রাজত্ব, অল্প দামে পণ্য দিতে হয় কৃষকদের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে সাধারণ কৃষকদের সমস্যা ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়। প্রকাশ করা হয় একাধিক ফড়িয়া অথবা মধ্যস্বত্বভোগীদের নাম। এর পরই জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (শুক্রবার) জেলা টাস্কফোর্স কমিটি বাজার মনিটরিং করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, জেলা টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার, জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য- সচিব ও ভোক্তা অধিদপ্তর উপপরিচালক মোহাম্মদ সোয়াইব হোসাইন, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান, মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক শাহনাজ পারভীনসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।

সংবাদ প্রচারের পর বাজার মনিটরিং হওয়ায় খুশি সাধারণ কৃষক। তারা মনে করছেন প্রশাসনের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে অতিদ্রুত এই সিন্ডিকেট বন্ধ করা সম্ভব। বাজারের সিন্ডিকেট, কৃষকদের ভোগান্তি এবং সবজির ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় ঢাকা পোস্ট পরবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

লাউকাঠি ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘বাজারে আজ ডিসি স্যার আসছিলেন। আমাদের বলে গেছেন, যেন ফড়িয়াদের কাছে সবজি বিক্রি না করি। তাদেরকে সবজি না দিলে আমরা সরাসরি ক্রেতাদের কছে বিক্রি করতে পারব। এতে ক্রেতা এবং আমরা লাভবান হবো। আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্তে খুশি।’

ভুরিয়া ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামের কৃষক মো. আক্কাস হাওলাদার বলেন, ‘গতকাল ঢাকা পোস্টের সাংবাদিকের কাছে আমাগো সমস্যার কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের সমস্যা তুলে ধরে নিউজ করছেন। তার নিউজের পর আজ ডিসি স্যার আইসা সবাইরে সতর্ক কইরা গেছে।ন আর বইলা গেছেন, এই বাজারে ফড়িয়াদের কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না।’ এ সময় তিনি ঢাকা পোস্ট পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাজার মনিটরিং শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কৃষক, ভোক্তা এবং মধ্যস্বত্বভোগী এই চক্রকে যাতে একটি সমন্বয়ে আনা যায়। যারা বিক্রি করছেন তারা যাতে কম দামে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে পণ্য বিক্রি করেন। আপনারা দেখছেন, আমাদের জেলা বাজার মনিটরিং টিম প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছেন। সরকারের নির্দেশনা মেনে দ্রব্যমূল্যের দাম যাতে সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখা যায় এজন্য আমাদের জোর চেষ্টা থাকবে। আমরা আশা করি কিছুদিনের মধ্যে বাজার একটি সহনশীল পর্যায় আসবে এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।’

মো. রায়হান/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *