পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় শ্রেণিকক্ষে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শাওন খান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় শ্রেণিকক্ষে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শাওন খান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত স্কুলছাত্র শাওন উপজেলার তেলিখালী গ্রামের শাহিন খানের ছেলে এবং স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই শাওন একটি মোবাইল নিয়ে স্কুলে গেলে সেটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় সহপাঠী ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে শাহেদ বিনকে সন্দেহ করে শাওন। মোবাইল চুরির বিষয়ে শাহেদকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে শ্রেণি শিক্ষক আবুল হোসেনের কাছে অভিযোগ করা হয়। একপর্যায়ে শ্রেণি শিক্ষক ওই মোবাইল চুরির অভিযোগে সহপাঠী শাহেদকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ নিয়ে সহপাঠী শাহেদের সঙ্গে শাওনের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, ওই বিরোধের জেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শাহেদ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে শাওনকে আটকে বেদম মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজা শাওনের সহপাঠী শাহেদ মোবাইল চুরি করে। এর প্রতিবাদ করলে সে তার সহযোগীদের নিয়ে শাওনকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে শ্রেণি শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, স্কুলে শাওনের মোবাইল ফোন চুরি হলে সে বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি ঘটনার তদন্ত করে শাহেদকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টির মিটমাট করে দেই। পরে শাওনকে কে বা কারা মেরেছে তা আমার জানা নেই।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান বলেন, এ ঘটনায় শাওন নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ এখনো ঢাকা থেকে আনা হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাফিউল মিল্লাত/কেএ