শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী দিশানায়েকের জয়

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী দিশানায়েকের জয়

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় গড়ানো ভোট গণনায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা ও বামপন্থী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। ঋণ ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুরার নাম ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় গড়ানো ভোট গণনায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা ও বামপন্থী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। ঋণ ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুরার নাম ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

রোববার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রোববার দ্বিতীয় দফার ভোট গণনা শেষে মার্কসবাদী নেতা অনুরা কুমারা দিশানায়েককে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন। দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহেকে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে হারিয়েছেন অনুরা।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে বলা হয়েছে, শনিবারের নির্বাচনে ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন। ভোট গণনায় বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা দ্বিতীয় ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। দিশানায়েকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রণিল বিক্রমাসিংহে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী সোমবার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে দিশানায়েকের।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুরা কুমারা দিশানায়েকের এই জয়কে রাজনৈতিক ভূমিকম্প বলা যেতে পারে। দেশটির এবারের নির্বাচনে বামপন্থী রাজনীতিবিদদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির করেছে; যে কারণে তার জয় শ্রীলঙ্কানদের জন্য অবাক করার মতো বড় কিছু নয়।

৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের প্রধান। এই জোটে রয়েছে তার নিজ দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। এই দলটি শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ও নিম্ন কর নীতির প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি বামপন্থী অর্থনীতির পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছে।

দিশানায়েকের জয়ের মধ্য দিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো শক্তিশালী বামপন্থী মতাদর্শের এক নেতার নেতৃত্বাধীন সরকার পাবে। এনপিপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংসদ সদস্য হরিণী অমরাসুরিয়া বলেছেন, ‘‘এটা পরিবর্তনের ভোট। আমরা যে প্রচার চালিয়ে আসছি, সেটাকেই নিশ্চিত করছে ভোটের ফলাফল। আমরা মানুষের কাছে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছি।’’

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *