নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর শ্বশুর বাড়ির বিল থেকে মিজানুর রহমানের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর শ্বশুর বাড়ির বিল থেকে মিজানুর রহমানের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেশুরবাগ এলাকার কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়িতে বিয়ে করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে গত শুক্রবার তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
মিজানুর শ্বশুর বাড়ির এলাকার লিনা আক্তার (৪০), রিদি হোসেন (২২) ও মাহি হোসেনের (২২) নিকট হতে টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা পরিশোধ না করায় গত ২০ সেপ্টেম্বর তারা তাকে মারধর করে। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তার আর খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কচুরিপানায় আটকে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে বিলে লাশটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিজানুর রহমানের মরদেহ শনাক্ত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিনা আক্তারের সঙ্গে নিহত মিজানুর রহমানের গোপন সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে টাকা ধার নেয় মিজান। টাকা দেওয়ার কথা বলায় সে উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপর লিনা আক্তার তার ছেলেদের নিয়ে মারধর করে। তারপর মিজান পালিয়ে যায়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য ও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা জানতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এমএ