ব্যাট-বলে দারুণ এক দিন পার করেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের বেলা ফুরাবার আগে শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। আগের ইনিংসে ফিফটি করা দলটির ওপেনার সাইম আইয়ুবকে এবার দলীয় ৫ রানেই ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। ফলে দিন শেষ হওয়ার আগে ১ উইকেটে ২৩ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে আগামীকাল পঞ্চমদিনের খেলায় নামবে বাংলাদেশ।
ব্যাট-বলে দারুণ এক দিন পার করেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের বেলা ফুরাবার আগে শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। আগের ইনিংসে ফিফটি করা দলটির ওপেনার সাইম আইয়ুবকে এবার দলীয় ৫ রানেই ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। ফলে দিন শেষ হওয়ার আগে ১ উইকেটে ২৩ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে আগামীকাল পঞ্চমদিনের খেলায় নামবে বাংলাদেশ।
দিনশেষে ক্রিজে অপরাজিত আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ (৯) ও আব্দুল্লাহ শফিক (১২)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান করে ১১৭ রানের লিড নেয়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নামা স্বাগতিকদের বোলিং তোপে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। যার ফলে তৃতীয় ওভারেই সাফল্য। অসাধারণ বোলিংয়ে সাইম আইয়ুবকে ব্যক্তিগত ১ রানে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান।
রাওয়ালপিন্ডিতে দিন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সর্বোচ্চ ১৯৩ এবং আরও চার ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরির সুবাদে সফরকারীরা ৫৬৫ রান সংগ্রহ করে। লিড পেলেও, দুটি আক্ষেপ থেকে যাবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের। আগেরদিন ৯৩ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায় ডুবেছিলেন সাদমান ইসলাম। আজ সেই হতাশা কিছুটা কাটতে পারত মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরিতে। কিন্তু এবার তিনি থামলেন ৯ রানের দূরত্বে থেকে। চা বিরতির পর তার বিদায়ে কেবল আশা হয়ে ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সেঞ্চুরি পাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল মিরাজের। কিন্তু আগ্রাসী শট খেলার চেষ্টায় তিনি ক্যাচ দিয়েছেন সালমান আলি আগার হাতে। ফলে থেমেছেন ৭৭ রানে। পরে শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের পুঁজি বাড়ানোর চেষ্টা চালান শরীফুল ইসলাম। অবশ্য সাড়ে পাঁচশ পার হওয়ার পেছনেও অবদান ছিল মূলত তারই। ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় তিনি ২২ রান করেছেন। তার বিদায়েই ৫৬৫ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর।
এর আগে শুক্রবার ৫ উইকেটে ৩১৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে নিজেদের জুটির শতরান পূর্ণ করেন মুশফিক ও লিটন দাস। লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। অনেকটা মুশফিকের মতোই নাসিম শাহ’র বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই মুশফিক-মিরাজের সেই দাঁত কামড়ানো জুটি। দিনের নবম ওভারেই পাকিস্তান সাফল্য পেলেও, এরপর লম্বা সময় এই দুজন তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই মুশফিক ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিরতির পর পর ফিরে মুশফিক দেড়শ এবং মিরাজ করেন ফিফটি। দ্বিতীয় সেশনে দুজনের জুটি দারুণ জমে ওঠে। দুই ডানহাতি মিলে নিরাপদে সেই সেশন পার করে পাঁচশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান দলকে। চা বিরতির পর ফিরে তাতে ছন্দপতন ঘটে মুশফিকের বিদায়ে। মোহাম্মদ আলীর করা অফস্টাম্পের বাইরের কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়ে বসলেন তিনি। নিজের হতাশা তো লুকাননি, সঙ্গে ড্রেসিংরুমে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত–ও আক্ষেপে মাথা নিচু করে ফেলেন।
এএইচএস