শেরপুর প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে জেলা বিএনপির প্যাডে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেরপুর প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে জেলা বিএনপির প্যাডে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বাতিল করার ঘোষণায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন নাগরিকরা। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এনটিভির জেলা প্রতিনিধি কাকন রেজাকে সভাপতি, দেশ টিভির রফিক মজিদকে কার্যকরী সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাসুদ হাসান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। জেলার মাঠপর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করায় সেটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তাদেরকে শেরপুরের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অভিনন্দন জানায়।
তবে ২৬ আগস্ট রাতে জেলা বিএনপির প্যাডে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেউ অবগত নয়। তাই ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হলো। বিএনপির এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
তবে প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্তের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, টাইপিং মিসটেকের কারণে কমিটি বাতিল লেখা হয়েছে। ওটা আমরা আবার রিভাইস দিচ্ছি, কারেকশন করে দিচ্ছি। আমরা অবগত নই, সে পর্যন্ত থাকবে।
এদিকে প্রেসক্লাবের কমিটি বাতিলের বিষয় জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পেয়েছি, এটা দুঃখজনক। এটা তো করতে পারে না। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।
শায়রুল কবির খান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব বা কোনো জেলা প্রেসক্লাব বিএনপির অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নয়, এমনকি বিএনপির পেশাজীবী সংগঠনও নয়। এই সংগঠনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই নেই।
আরএআর