শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নকলার পিপরাকান্দি এলাকায় ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নকলার পিপরাকান্দি এলাকায় ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম শাহিদা বেগম। নকলার পিপরাকান্দির আকতার মিয়ার মেয়ে এবং কামারিয়া গ্রামের আরিফ মিয়ার স্ত্রী।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। ঘটনার পর থেকেই স্বামী আরিফ মিয়াসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।

শাহিদা বেগমের স্বজনরা বলেন, প্রায় আট মাস আগে নকলার পিপরাকান্দির আকতার মিয়ার মেয়ে শাহিদার একই উপজেলার কামারিয়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে আরিফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। সে সময় যৌতুক হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরুও দেওয়া হয় আরিফকে। কিন্তু এরপরেও আরও ৪ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করেন তিনি। তবে, যৌতুক আনতে অস্বীকার করায় আরিফ ও তার পরিবার মিলে শাহিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

এর জেরে ২০ দিন আগে শাহিদা তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। গতকাল (শুক্রবার) আরিফ মিয়া শাহিদাদের বাড়িতে আসেন। রাতের খাওয়ার পর স্ত্রীকে নিয়ে শুয়ে পড়ার পরেন। শনিবার সকালে শাহিদার ঘরে গিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকেই আরিফ পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে শাহিদার মা ময়না বেগম বাদী হয়ে আরিফ মিয়াসহ চারজনকে বিবাদী করে নকলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, আমরা শাহিদা বেগম নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *