শেখ হাসিনা ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন

শেখ হাসিনা ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দলের রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার থিওরি এদেশে আর চলবে না। শেখ হাসিনা কখনো দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দলের রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার থিওরি এদেশে আর চলবে না। শেখ হাসিনা কখনো দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজিরহাটের আব্দুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা খেলাফত মজলিশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ নয়, আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করেছেন। তিনি তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন, এমনকি তিনি আওয়ামী লীগের ওপরও প্রতিশোধ নিয়েছেন। তিনি এমন একজন নেতা, যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “এত বড় দল, এত নেতাকর্মী অথচ তার বাবার লাশ মাটিতে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি”। বাংলাদেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি এমনকি আওয়ামী লীগের প্রতিও তার মনের মধ্যে বিদ্বেষ ছিল। আওয়ামী লীগ যেন বাংলাদেশে কোনোদিন রাজনীতি করতে না পারে, সেই পরিস্থিতি শেখ হাসিনাই সৃষ্টি করে দিয়েছেন।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা এমন কাজ করেছিল যেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। তিনি ও তার পরিবার এদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ পরিবারের কোনো সদস্য অংশগ্রহণ করেন নাই। অথচ শেখ হাসিনা দাবি করতেন, আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। যখন যার সঙ্গে দ্বিমত হতো, তাকেই রাজাকার আখ্যা দেওয়া হতো।

তিনি আরও বলেন, এভাবেই দেশের মানুষের প্রতি অত্যাচার করায় যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিলেন। তখন শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিলেন। তিনি এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকেও রাজাকার বলেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বিজয় অর্জন করেছি। যদি আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ দেখা যায়, ঐকমত্য হতে না পারি। তবে পরাজিত শক্তি আবার মাথাচড়া দিয়ে উঠবে।

গণসমাবেশের প্রধান আলোচক খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের কী বদনাম বলবো, যার সারা শরীরেই ঘাঁ। এই আওয়ামী লীগ শাপলা চত্বরে শত শত আলেম হত্যা করেছিল। সর্বশেষ এই জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার বাবার রক্তের যেমন দাম আছে, আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও তেমনি দাম আছে। প্রতিটি হত্যার বিচার বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায়।

সমাবেশে মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদকে আগামী নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে খেলাফত মজলিসের (রিকশা প্রতীক) প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন মামুনুল হক।

জাজিরা উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা নুরুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জেলার সভাপতি মাওলানা শাব্বীর আহমদ উসমানী। অনুষ্ঠানে খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।

সাইফ রুদাদ/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *