বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল, ১৫ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষের ওপর তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। এ দেশের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয়, সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল, ১৫ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষের ওপর তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। এ দেশের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয়, সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণ-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা ১৬ বছরে শুধুমাত্র অন্যান্য দলের সাথে প্রতিশোধ নেননি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথেও তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও এরশাদ তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাননি, কারাবাস গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী, স্বার্থবাদী হাসিনা শুধু নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে একা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বাংলাদেশ কোনো দেশের দাসত্ব করবে না। এই দেশে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ড হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিপ্লবকে ছিনতাই করার পাঁয়তারা চলছে। আমাদের অতীতের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সব নেতাকর্মীসহ দেশের সাধারণ জনগণকে সজাগ ও সোচ্চার থাকতে হবে।
ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামুনুল হক বলেন, যদি বন্ধুত্বের চিন্তা নিয়ে আমাদের দিকে হাত বাড়ান, তাহলে আমরা হাত আপনাদের দিকে প্রসারিত করব, আর যদি প্রভুত্বের চিন্তা নিয়ে হাত বাড়ান, তবে সেই হাত আমরা উপড়ে ফেলব।
তিনি বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। খুবই ভালো উদ্যোগ, তবে তাদের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। শেখ হাসিনা এবং তার দোসর যারা এই দেশে গুম, খুন করেছে, এই দেশের অর্থ বিদেশে যারা পাচার করেছে. তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। সেই অর্জন যতটা কঠিন হয়েছে. তার থেকে বড় কঠিন অর্জন ধরে রাখা। তাই এই বিজয় ধরে রাখতে মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
আরিফ হাসান/কেএ