বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, যিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি অবশেষে তার করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, যিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি অবশেষে তার করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন।
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে সম্প্রতি শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে তিনি একথা বলেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, যিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি তার করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন।
মূলত ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হওয়ার পর হাসিনা ও তার বোন সামরিক হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যান। পরে ক্ষুব্ধ জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের বেশ কয়েকটি মূর্তি, ছবি এবং ম্যুরাল ভাংচুর করে।
গত জুলাইয়ের শুরুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে তৎকালীন সরকার ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করলে সহিংসতা সৃষ্টি হয় এবং এতে চার শতাধিক মানুষ নিহত এবং আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতির মূর্তি ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘নিজের কৃতকর্মের ফল নিজের দিকেই ফিরে আসে’। তার মতে, শেখ মুজিব পাকিস্তানকে বিভক্ত করেছিলেন।
ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ইয়ুথ কনভেনশনে দেওয়া এই বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান হাজার হাজার জীবন উৎসর্গ করেছে এবং ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পাকিস্তান নয়, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানের ভূমিকায় সারা বিশ্ব উপকৃত হয়েছে।’
ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ইয়ুথ কনভেনশনে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি সেনাপ্রধান (সিওএএস) জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির, উচ্চ শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, সারাদেশের শিক্ষক, উপাচার্য এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএম