বাঁ হাতে স্যালাইন লাগানো কন্যা শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। ঘুম থেকে জাগা পেলেই মাকে ঝাপটে ধরছে। মাঝে মাঝে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়ছে। ছয় বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অসহ্য যন্ত্রণায় বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ দৃশ্যের দেখা মেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বাঁ হাতে স্যালাইন লাগানো কন্যা শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। ঘুম থেকে জাগা পেলেই মাকে ঝাপটে ধরছে। মাঝে মাঝে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে পড়ছে। ছয় বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অসহ্য যন্ত্রণায় বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ দৃশ্যের দেখা মেলে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সাথি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ধর্ষণের কারণে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের একটি মহল্লায় গত শনিবার দুপুরে। ওই দিন দিবাগত রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশী গফুর মোল্লা (৭০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই অভিযুক্ত গফুর মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার অভিযুক্ত গফুর মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছোট্ট একটা শিশুর ওপর এমন পাশবিক নির্যাতন কোনো মানুষ করতে পারে! নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
শিশুটির বাবা বলেন, ধর্ষণকারী গফুর মোল্লা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। মামলা না করার জন্য আর্থিক প্রলোভন দেখিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘটনার শিকার শিশুটির কারণে ভয়ে পিছিয়ে যাননি। ন্যায়বিচার পেতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে চাই।
গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরেই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। নারী চিকিৎসকের সহায়তায় শিশুটির শরীর পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
গোলাম রাব্বানী/এএমকে