বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরব ছিলেন দেশের বেশির ভাগ তারকাই। তবে নিরব ভূমিকা ছিল মাশরাফির। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সসস্য হওয়াই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে পারেননি বলে দাবি মাশরাফির। তবে নিজের মেয়েকে এই আনন্দোলনে যুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি।
বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরব ছিলেন দেশের বেশির ভাগ তারকাই। তবে নিরব ভূমিকা ছিল মাশরাফির। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সসস্য হওয়াই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে পারেননি বলে দাবি মাশরাফির। তবে নিজের মেয়েকে এই আনন্দোলনে যুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি।
মাশরাফির বড় মেয়ে হুমায়রা স্কুল পড়ুয়া। এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি যেহেতু ছিল শিক্ষার্থীরা তাই হুমায়রাকে এই আন্দোলনে অংশ নিতে বলেছিলেন মাশরাফি। এমনকি হুমায়রা আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু স্ট্যাটাসও দিয়েছিল বলে জানান মাশরাফি।
দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজ তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে।’
‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি।’-যোগ করেন তিনি।
এই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের কাছেও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে মাশরাফিকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।’
‘স্ত্রী-সন্তানদের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হয়েছে, কেন কিছু লিখতে পারিনি। শুধু পরিবার নয়, বন্ধু-বান্ধব, আশেপাশের সবাই জিজ্ঞেস করেছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি। তবে মেয়ের কাছে অন্তত এটুকু জায়গা আমার আছে যে, বাবা তাকে আটকায়নি।’-যোগ করেন তিনি।
এইচজেএস