শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে জবির সাদা দলের সংহতি প্রকাশ

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে জবির সাদা দলের সংহতি প্রকাশ

দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিসহ সব ধরনের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিসহ সব ধরনের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

রোববার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে দলের নেতারা এ সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, একটি যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের গুলি করে যেভাবে পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে সেটা কোনো ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত যে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। এ সময় তারা অবিলম্বে আটককৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সব শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জমির হোসেন বলেন, আমরা এখানে ছাত্রদের জন্য এসে দাঁড়িয়েছি। এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেক ছাত্র নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আছে শিশু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে, হামলায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। এসব সংবাদে আমরা মর্মাহত, ভারাক্রান্ত। আমাদের আত্মীয়ের মধ্যেও এমন ঘটেছে। আমরা শিক্ষক হিসেবে এসব মেনে নিতে পারছি না। আমরা বিবেকের তাড়নায় এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। যারা নিহত হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হোক। যারা বন্দি অবস্থায় আছে তাদের মুক্তির দাবি জানাই।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইয়া বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণআন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ আন্দোলন কেউ আবারো ছাত্র আন্দোলন ছাড়িয়ে গেছে। এবার যেটা হয়েছে সেটি গণহত্যা। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এক দফা এক দাবির সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি, অন্তত সংহতি প্রকাশ করতে পারলে যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, চোখের সামনে আমার শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, আমি শিক্ষক হিসেবে তার প্রতিবাদ জানাতে পারিনি। দেরিতে হলেও আজ আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি। আমি একাত্তর দেখিনি, বায়ান্ন দেখিনি, আটষট্টি দেখিনি, নব্বই দেখিনি, আমি আমার নিজের চোখে এই চব্বিশ দেখেছি। এখন দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে বলা হচ্ছে দরজা খোলা, এই আগে কেন বন্ধ ছিল। এই পুলিশকে গুলি করার অনুমতি কে দিয়েছে, জাতি আজকে জানতে চায়। একজন মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বিষয়েও ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজকের এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী, তা দেশের ১৮ কোটি জনগণ অবগত।

এমএল/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *