শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টিএসসি থেকে পালালেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) থেকে তাকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টিএসসি থেকে পালালেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) থেকে তাকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাফসান দ্য ছোটভাই তার নিজ গাড়িতে করে এলে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা তাকে ঘিরে ধরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন তিনি। এসময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়িতে হামলা করতে গেলেও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহায়তায় তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, সে এতদিন পর অ্যাটেনশন নিতে এসেছে। আমরা তার কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি এতদিন পর কি করতে এসেছেন?
এদিকে দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে রাজপথ।
শহীদ মিনার এলাকা থেকে ঢাকা পোস্টের পাঁচজন প্রতিবেদক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করতে দুপুর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন তারা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ মিনার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ, সারজিসসহ সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর,’ এসব স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে সকালে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর, শান্তিনগর, আফতাবনগর, প্রগতি সরণি, বাড্ডা, রামপুরা, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীরা এখনও অবস্থানে রয়েছেন।
সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
এমএম/এসএসএইচ