কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত করতে হবে। আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, সন্ত্রাসমুক্ত নৈরাজ্যমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গত ১৬ বছরে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু মান বৃদ্ধি পায়নি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত করতে হবে। আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, সন্ত্রাসমুক্ত নৈরাজ্যমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গত ১৬ বছরে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু মান বৃদ্ধি পায়নি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। এমনকি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছিল। দলীয়করণমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ তৈরি করতে পারলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশ পাবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করতে গিয়ে বিগত ১৬ বছরে অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে এবং হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে।
ছাত্রশিবির শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট কারার পাঁয়তারা করছে জানিয়ে শাহাদাত বলেন, গত এক মাস ধরে চট্টগ্রাম কলেজে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে ঠিক সেভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রিন্সিপালের নিকট অভিযোগ দিলেই তাদের ওপর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করীম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবির, আজিজুল হক নাঈম ভূইয়া, সদস্য শুয়াইবুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রদলের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারওয়ার আলম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দীন সাহেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাকিলসহ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আরএমএন/পিএইচ