শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে রংপুর জেলা প্রশাসন

শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে রংপুর জেলা প্রশাসন

রংপুরে ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে থেকে ন্যায়বিচার পেতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

রংপুরে ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে থেকে ন্যায়বিচার পেতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ায় শহীদ মেরাজুল ইসলাম মেরাজের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার সময় এ প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুর হাসান রুমি, রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাইম হাসান খান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে গড়ে উঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে তারা যেন আইনিভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে শনিবার দুপুর থেকে শহীদ মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, আব্দুল্লাহ আল তাহির, সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন মিলন ও মানিক মিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান জেলা প্রশাসক। তিনি শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা অনুদান দেন। এর আগে এদিন সকালে শহীদদের কবর জিয়ারত করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

নবাগত এই জেলা প্রশাসক জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশে বৈষম্য দূরীকরণে জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করবে তার প্রশাসন। এ পর্যন্ত রংপুর জেলায় ১৯ জন শহীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। আহতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রংপুরের পার্ক মোড়ে প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। দুদিন পর ১৮ জুলাই মডার্ন মোড়ে তাজহাট থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন অটোচালক মানিক মিয়া। এর পরদিন ১৯ জুলাই সিটি বাজারে এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির, ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন ও স্বর্ণকার শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন। এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে অনেকেই আহত হন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *