শমসের মবিনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ

শমসের মবিনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে সেই সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী। 

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে সেই সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী। 

শমসের মবিন চৌধুরী জানান, তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাদের বুধবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তার স্ত্রী ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে বিমানবন্দরে গিয়ে ভিআইপি টার্মিনালে বসেছিলেন। সেখানে বসার পর তাদের দুজনকে পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে বলা হয়। ফটোকপি দেওয়ার পর আর কারও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টাকে ফোন করলে তিনি এই বিষয় দেখেন না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানান। এরপর ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। 

পরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক পরিচালককে কল করেছেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন বলেছি আমার স্ত্রী একা যেতে পারলেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আমি দু–তিন দিন পরে যাব। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার ওই পরিচালক জানান, আপনার স্ত্রী যেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এরই মধ্যে বিমান চলে গেছে। আমার স্ত্রীও যেতে পারেননি।’

বিদেশ যেতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, এ জন্য ২০১০ সালে আদালত থেকে একটি আদেশ আছে জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, এরপরও তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটি আদালত অবমাননা। আদালতের আদেশের কপি তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর না পেলে তিনি আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সবশেষ গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *