শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির মার্কসবাদী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে শপথ গ্রহণ করেছেন। গতকাল রোববার সকালে রাজধানী কলম্বোর প্রেসিডেন্সিয়াল সচিবালয়ের ভবনে শপথ নিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির মার্কসবাদী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে শপথ গ্রহণ করেছেন। গতকাল রোববার সকালে রাজধানী কলম্বোর প্রেসিডেন্সিয়াল সচিবালয়ের ভবনে শপথ নিয়েছেন তিনি।
শপথ নেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে বলেন, তিনি শ্রীলঙ্কার সংকটের জটিলতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার এই সংকটের আবর্ত থেকে দেশ এবং দেশবাসীকের রক্ষা করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করবে।
“আমি জানি, সাম্প্রতিক সংকট পরিস্থিতির জেরে অনেকেই রাজনীতিবিদদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। সেই আস্থা যেন ফিরে আসে, সেজন্য আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে এটাও সত্য যে আমি কোনো জাদুকর নই। আমার হাতে কোনো ম্যাজিক নেই যে রাতারাতি সব ঠিক হয়ে যাবে। এমন অনেক ব্যাপার আছে যা আমি জানি, আবার অনেক ব্যাপার আছে যা আমি জানি না।”
“কিন্তু আমি যেটা করতে পারব—কোনা ইস্যুতে সেরা পরামর্শ গ্রহণ করা এবং নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রম। আর এ কারণে, সবার সমর্থন-সহযোগিতা প্রয়োজন হবে আমার।”
শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ২ কোটি মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কায় এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ। নির্বাচনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন, তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, সাজিথ প্রেমাদাসা এবং অনুরা কুমারা দিশানায়েক— এই তিন জনের মধ্যে।
ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মোট ভোটের শতকরা ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন দিশানায়েকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন প্রেমাদাসা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাবিংহে হয়েছেন তৃতীয়।
দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দল জনতা ভিমুক্তি পেরেুমুনার (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি) চেয়ারম্যান। পার্লামেন্টে অবশ্য এই দলটির অবস্থা তেমন ভালো নয়। জেভিপির মাত্র ৩ জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান পার্লামেন্টে।
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা
এসএমডব্লিউ