কনস্টেবল নিয়োগ শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক।
কনস্টেবল নিয়োগ শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল প্রার্থীদের শারীরিক উচ্চতা ও কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাইয়ে এসে তিনি এ কথা জানান।
এসপি মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক বলেন, নিয়োগে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমি এটার শতভাগ বাস্তবায়ন করবো। নিয়োগ প্রার্থী যেন দালাল চক্র বা প্রতারক দ্বারা প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন, আজসহ আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত শারীরিক উচ্চতা, কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই ও শারীরিক পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এই নিয়োগে যোগ্য প্রার্থীদেরই চাকরি হবে।
জানা যায়, নোয়াখালী জেলায় ৯১ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসেবে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়বেন ৪০ জন চাকরিপ্রার্থী।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার হারুনর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লম্বা লাইন হয়েছে, সবাই আগ্রহ নিয়ে পুলিশ হতে চাচ্ছে। এ বছর কোনো কোটা নেই। সত্যিকারের মেধাবীরা নিয়োগ পাবে। আমার ছেলে গতবছর পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু হয় নাই। আশা করি যোগ্যতার ভিত্তিতে এ বছর নিয়োগ হবে। তাহলে সে দেশের জন্য কাজ করতে পারবে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আহাদ সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশের মধ্যে সবাই খারাপ না। যারা মানুষের জন্য কাজ করে আমরা তাদের মতো পুলিশ হতে চাই। যেন দেশের সেবা করতে পারি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
হাসিব আল আমিন/এএমকে