লোহিত সাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা, ৩ দিন ধরে জ্বলছে আগুন

লোহিত সাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা, ৩ দিন ধরে জ্বলছে আগুন

লোহিত সাগরে গ্রিসের পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা। বুধবার হুথিদের হামলার পর ওই তেল ট্যাংকারের তিনটি স্থানে এখনও আগুন জ্বলছে। যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউকেএমটিও এই তথ্য জানিয়েছে। লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার পর উদ্ধারকারীরা ট্যাংকারের ক্রুদের সরিয়ে নেন। 

লোহিত সাগরে গ্রিসের পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা। বুধবার হুথিদের হামলার পর ওই তেল ট্যাংকারের তিনটি স্থানে এখনও আগুন জ্বলছে। যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউকেএমটিও এই তথ্য জানিয়েছে। লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার পর উদ্ধারকারীরা ট্যাংকারের ক্রুদের সরিয়ে নেন। 

ইয়েমেনের সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকারী ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা বলেছে, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে তারা। এর অংশ হিসেবে লোহিত সাগরে সাউনিয়ন তেল ট্যাংকারে হামলা চালানো হয়েছে।

হুথিরা বুধবার একাধিক হামলার মাধ্যমে ট্যাংকারটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ট্যাংকারের একটি ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়। হুথিদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিসের পতাকাবাহী ওই ট্যাংকার থেকে অন্তত ২৫ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি যুদ্ধজাহাজ।

সামুদ্রিক নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ক্রুবিহীন ট্যাংকারটি ইয়েমেন ও ইরিত্রিয়ার জলসীমার মধ্যবর্তী এক এলাকায় নোঙর করা হয়েছিল। শুক্রবার ইউকেএমটিও বলেছে, তারা ট্যাংকারটির অন্তত তিনটি স্থানে আগুনের খবর পেয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুথিদের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ওই ট্যাংকারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাংকারটি দেড় লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল পরিবহন করছিল। ট্যাংকারটি আক্রান্ত হওয়ায় পরিবেশগত বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোহিত সাগরের নৌ মিশন অ্যাসপাইডস জানিয়েছে। 

জিবুতির বন্দর ও মুক্ত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ট্যাংকার থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় তা এই অঞ্চলের সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *