লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তন শুরু রোববার

লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তন শুরু রোববার

লেবানন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি। আগামী ২০ ও ২২ অক্টোবর দুই দফায় অর্ধশত করে বাংলাদেশি দেশে ফিরতে শুরু করবেন।

লেবানন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে নিবন্ধন করেছেন ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি। আগামী ২০ ও ২২ অক্টোবর দুই দফায় অর্ধশত করে বাংলাদেশি দেশে ফিরতে শুরু করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তৌহিদ হোসেন জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যারা ফেরত আসতে চান আমরা তাদের ফেরত আনছি। ১ হাজার ৮০০ জনের মতো নিবন্ধন করেছেন ফেরত আসতে। এদের মধ্যে ১৬০ জনের মতো সঠিক নিয়মে নিবন্ধিত। যারা আসতে চাইছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগ অনিয়মিত। ৫০ জন করে প্রতিদিন আসতে থাকুক। ২০ ও ২২ অক্টোবর ৫০, ৫২ বা ৫৪ করে আসবেন। এরা সবাই ডকুমেন্টেড।

অনিয়মিতদের ফেরানোর প্রক্রিয়া জটিল জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনিয়মিত সংখ্যাটা কম না। ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ হবে। কেউ সঠিক সংখ্যা জানেন না। কারণ, সবাই ডকুমেন্টেড হয়ে যান না। এদের মধ্যে অনেক আসতে চান না, কারণ বিপুল অর্থ খরচ করে গেছেন। দেশে ফেরার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে যারা অনিবন্ধিত আছেন তাদের জন্য সমস্যাটা বেশি। লেবানন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।

তিনি বলেন, ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে। জরিমানার পরিমাণটা বেশি। আমরা সেটা মাফ করার ব্যবস্থা করছি। কারণ তাদের হাতে টাকা-পয়সা নাই। আমরা টাকা সরবরাহ করছি। ইতোমধ্যে এটা অ্যাপ্রুভ হয়ে গেছে। অনিবন্ধিতদের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে আইওএমের সহায়তা চেয়েছি।

বৈরুত বিমানবন্দর থেকে চালু থাকা এয়ারলাইন্স ভাড়া বাড়িয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, কিছু কিছু এয়ারলাইন্স ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু করার নাই। ভাড়া বাড়লেও আনতে হবে। সবাইকে এয়ারে আনা যাবে এমন নিশ্চয়তাও নাই। আমরা দৈনিক ৫০ জনের বেশি সিট পাচ্ছি মিডেলইস্ট এয়ারওয়ে, যেটা বৈরুত থেকে উঠবে।

বাংলাদেশিদের আকাশপথ ছাড়াও বিকল্প পথ হিসেবে সমুদ্র পথে তুরস্কে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আমরা চিন্তা-ভাবনা রাখছি যদি প্রয়োজনে পড়ে সমুদ্র পথে নিয়ে যাব তুর্কিতে। সেখান থেকে বিমানের চার্টার্ড বা নিয়মিত ফ্লাইটে তাদেরকে নিয়ে আসব। তবে সেটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। তবুও মানুষের জীবনের প্রশ্নে সেটা করার জন্য আমরা প্রস্তুতি রাখছি।

এনআই/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *