লেবাননে ‘সাময়িক অস্ত্রবিরতি’ চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ আরব দেশগুলো

লেবাননে ‘সাময়িক অস্ত্রবিরতি’ চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ আরব দেশগুলো

লেবাননে ‘সাময়িক অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ বেশ কয়েকটি আবর দেশ। মূলত হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

লেবাননে ‘সাময়িক অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ বেশ কয়েকটি আবর দেশ। মূলত হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

আর এর মধ্যেই বুধবার লেবাননে ২১ দিনের ‘অস্থায়ী অস্ত্রবিরতির’ জন্য একটি যৌথ বিবৃতি দেয় এসব দেশ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত সোমবার থেকে লোবনেন নাটকীয়ভাবে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলা শুরু করার পর থেকে দেশটিতে কয়েক শত নিহত এবং আরও হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় বুধবার আরও ৭২ জন নিহত হয়েছেন।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “সীমান্তের উভয় পাশের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে কূটনৈতিক মীমাংসার সময় এসেছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই সংঘাত বৃদ্ধির মধ্যে কূটনীতি সফল হতে পারে না। আর তাই আমরা এই সংঘাতের কূটনৈতিক নিষ্পত্তিতে পৌঁছাতে কূটনীতির সুযোগ প্রদানের জন্য লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তজুড়ে অবিলম্বে ২১ দিনের অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানাই।”

এদিকে বুধবার জাতিসংঘে লেবানন ইস্যুটি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা দেখা গেছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট লেবাননে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেন, প্যারিস ও ওয়াশিংটন ‘আলোচনা এবং আরও টেকসই অস্ত্রবিরতির সুযোগ দিতে তিন সপ্তাহের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব করছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও লেবাননে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, লেবানন আরেকটি গাজা হতে পারে না।

তিনি বলেন, “আমি এই আগুন নেভাতে সাহায্য করার জন্য (সিকিউরিট) কাউন্সিলকে জোর দিয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি। সংঘাতরত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধে ফিরে আসতে হবে… বেসামরিকদের রক্ষা করতে হবে। বেসামরিক অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। জাতিসংঘের সকল সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সব পক্ষের কাছে (আমার অনুরোধ), আসুন স্পষ্ট একটি কণ্ঠে বলি: হত্যা ও ধ্বংস বন্ধ করুন, বাগাড়ম্বরপূর্ণ উক্তি এবং হুমকির সুরে কথা বলা কমিয়ে দিন এবং (সংঘাতের) কিনারা থেকে সরে আসুন।”

গুতেরেস বলেন, আমাদের “যেকোন মূল্যে” সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানো উচিত।

এদিকে লেবাননে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় বুধবার আরও ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০০ মানুষ। এতে করে গত কয়েকদিনে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬২০ ছাড়িয়ে গেল।

লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বুধবারের হামলায় আরও প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *