লিবিয়া থেকে আরও ১৫০ জন আটকেপড়া অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে তাদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
লিবিয়া থেকে আরও ১৫০ জন আটকেপড়া অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে তাদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ার ত্রিপলী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক ১৫০ জন আটকেপড়া অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে আজ সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসন করা অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তাবৃন্দ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
বর্ণিত ফ্লাইটে প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশ লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সবাইকে আহ্বান জানান।
আইওএমের পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আইওএম একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে লিবিয়ার ত্রিপোলির ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৫৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এনআই/এমএ