লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম নুরুকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম নুরুকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে নিহত নুরুর স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামটি দায়ের করেন।
সূত্র জানায়, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে ১০-১২ জন লোক বাড়ির পেছনে নুরুকে মারছিল। ঘর থেকে বের হয়ে তার ছেলে আরিফ হোসেন ঘটনাটি দেখতে পায়। বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকে হামলাকারীরা ধরে রাখে। এক পর্যায়ে তিনি হামলাকারীদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এরমধ্যেই নুরুকে হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি লাঠিসোটা দিয়ে পেটাচ্ছিল। এতে নুরুর স্ত্রী মমতাজ হামলাকারীদের পায়ে ধরে স্বামীকে না মারার জন্য অনুনয় বিনয় করে। কিন্তু হামলাকারীরা কোন কথা শোনেনি। উল্টো মমতাজকেও মারধর করে। হামলাকারীদের মধ্যে খোকন নামে একজনকে আরিফ চিনতে পেরেছে। খোকন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার নেতৃত্বেই নুরুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহত নুরুর ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, ঘটনার সময় বাবা বাড়িতে ছিলেন। বাবার মোবাইলফোনে কেউ একজন কল দিয়ে জানিয়েছে তাকে মারতে আসছে। এতে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা বাবাকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। পুকুর থেকে উঠিয়ে ফের পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় দর্জি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার দিন রাত বাড়িতে ঢুকেই ১০-১২ জনের এক দল লোক তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসএ