রেদওয়ান হত্যা : খুনিদের গ্রেপ্তার ও বন্দুক জব্দের দাবি

রেদওয়ান হত্যা : খুনিদের গ্রেপ্তার ও বন্দুক জব্দের দাবি

পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৮ জুলাই মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের পংমধপুর গ্রামে আকবরের গুলিতে নিহত হন রেদওয়ান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও গুলি করা সেই বন্দুক জব্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার ও তার স্বজনরা।

পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৮ জুলাই মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের পংমধপুর গ্রামে আকবরের গুলিতে নিহত হন রেদওয়ান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও গুলি করা সেই বন্দুক জব্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার ও তার স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ওয়েস্টার্ন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৮ জুলাই আকবরের গুলিতে নিহত হন রেদওয়ান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশিক মিয়ার বাম পায়ের হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ছাড়াও আরও অনেকে আহত হন। 

‘হত্যার ঘটনায় নিহত রেদওয়ানের মা রেশনা বেগম গত ৩০ জুলাই মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।’

তারা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। তাদের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে ফের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। প্রশাসন আন্তরিক না হলে ফের বড় ধরনের সংঘর্ষ হবে। 

ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসামি মুকিদ মিয়া, ছুফি মিয়া, জাবেদ মিয়া, লেফাস, লিয়াকত, ছায়াদ ও জমশেদ নিহত রেদওয়ানের বাড়ির রাস্তার পাশে এসে হুমকি দেয় যদি মামলা না তুলি তাহলে আমাদের মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও তাদের কোনো সহযোগিতা পাইনি।

তারা বলেন, আসামিদের ভাই আমেরিকা প্রবাসী জিলাদ মিয়া সম্প্রতি দেশে এসে তার গোষ্ঠীর সবাইকে নিয়ে বসে ফের সংঘর্ষের পরিকল্পনা করছে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, দুয়েক বছর পর পর আমাদের এলাকায় খুন হয়। আমরা আর খুন চাই না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি জিলাদ বাহিনীর কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— নিহত রেদওয়ানের মা রেশনা বেগম, পিতা খালেদ মিয়া, ভাই ফয়ছল আহমদ। এ ছাড়াও এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন— মো. ফারুক মিয়া, মো. ফখরুল ইসলাম, নিরা বেগম, আশিক মিয়া ও রিপন মিয়া প্রমুখ।

আশরাফ আলী/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *