রাশিয়ার ভূখণ্ডের কিছু অংশ দখলের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে পশ্চিমা দেশের ছাড়পত্র ও সহায়তা চাইছেন। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি এই আহ্বানই জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ভূখণ্ডের কিছু অংশ দখলের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে পশ্চিমা দেশের ছাড়পত্র ও সহায়তা চাইছেন। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি এই আহ্বানই জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ইউক্রেন নিজস্ব অধিকৃত এলাকায় রুশ সৈন্যদের চাপে ফেলার যে আশা করেছিল, এখনো পর্যন্ত সেই সুফল পাওয়া যায়নি। বরং রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডের আরও অংশ দখল করার ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাফল্যের অভাবের জন্য পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধকে আংশিকভাবে দায়ী করেছেন।
সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার ক্ষেত্রে সেই বাধা আরও শিথিল করা হবে বলে তিনি আশা করছেন। জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে আরও দূরপাল্লার অস্ত্র পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডি স্কোফের সঙ্গে ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্বে জাপোরিজিয়া শহরে সাক্ষাতের পর জেলেনস্কি বলেন, আজকের দিনে শুধু এমন অনুমতিই যথেষ্ট নয়। সহযোগী দেশগুলোকে সেইসঙ্গে এমন দূরপাল্লার অস্ত্রও সরবরাহ করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ রেখার এত কাছে কোনো পশ্চিমা সরকার প্রধানের সফর বিরল ঘটনা।
উল্লেখ্য, সেই এলাকায় পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার দখলে রয়েছে। স্কোফ ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ন্যায্য শান্তি আনার লক্ষ্যে সেটা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে এয়ার-ডিফেন্স আরও মজবুত করার পাশাপাশি নতুন প্যাট্রিয়ট সিস্টেমও প্রয়োজন বলে জেলেনস্কি মনে করেন। রাশিয়ার ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ওপরেও তিনি জোর দিয়েছেন।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গোলিয়া সফর করছেন। সেদেশের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে নতুন গ্যাস পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপে গ্যাস বিক্রি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া নতুন বাজার খুঁজছে।
ইউক্রেন মঙ্গোলিয়ার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সমন অনুযায়ী পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে। তবে মঙ্গোলিয়ার সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সে দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
টিএম