রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে প্রতিপক্ষের জালে বার্সার ৭

রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে প্রতিপক্ষের জালে বার্সার ৭

শিরোপাহীন একটি মৌসুম কাটানোর পর লা লিগায় এবার দুর্দান্ত এক শুরু পেয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের টানা চতুর্থ জয় পাওয়ার দিনে তারা রীতিমতো রিয়াল ভায়াদোলিদের জালে গোল উৎসব করেছে। আর তাতে বড় ভূমিকা ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার। তার দারুণ এক হ্যাটট্রিকে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সা।

শিরোপাহীন একটি মৌসুম কাটানোর পর লা লিগায় এবার দুর্দান্ত এক শুরু পেয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের টানা চতুর্থ জয় পাওয়ার দিনে তারা রীতিমতো রিয়াল ভায়াদোলিদের জালে গোল উৎসব করেছে। আর তাতে বড় ভূমিকা ছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার। তার দারুণ এক হ্যাটট্রিকে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সা।

গতকাল (শনিবার) ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ভায়াদোলিদকে আতিথ্য দেয় কাতালানরা। পুরো ম্যাচজুড়ে সফরকারীরা কোনো পাত্তাই পায়নি। ফলে ভায়াদোলিদকে দর্শক বানিয়ে তাদের অর্ধে একের পর এক আক্রমণ এবং গোল করেছে অনেকটা পাইকারি দরে। বার্সার হয়ে রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি, জুল কুন্দে, দানি ওলমো ও ফেররান তোরেস।

অভিষেক ম্যাচেই গোল করে কাতালানদের জেতানো স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানি ওলমো এদিন শুরু করেন প্রথম একাদশে থেকে। গোলের পাশাপাশি তার আরও কিছু আক্রমণ ফিরেছে গোলবার থেকে। একইভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দুটি গোলের যোগান দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সা, গোল পোস্টে লাগে ওলমোর ছয় গজ দূরত্ব থেকে নেওয়া ভলি। এরপর দশম মিনিটে তার করা গোলও কাটা পড়ে অফসাইডে। রাফিনিয়ার নিচু শট গোলরক্ষকের সামনে বাধা পাওয়ার পর ওলমো ফের জালে পাঠিয়েছিলেন।

গোল পেতে মরিয়া বার্সাকে লিড এনে দেন রাফিনিয়া। ২০ মিনিটে পাউ কুবার্সির মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। পরের গোলের যোগানও আসে একইভাবে। এবার স্পটলাইটে লেভান্ডফস্কি। চলতি আসরে চতুর্থ গোল পাওয়া এই পোলিশ তারকা বার্সাকে দ্বিতীয় লিড এনে দেন। ম্যাচ যখন বিরতির দিকে এগোচ্ছে, তখন ফের গোলপোস্টে বল লাগার হতাশায় পোড়েন ওলমো। পরে যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে পাওয়া বলে কোণাকুণি শটে ফরাসি ডিফেন্ডার কুন্দে স্কোরলাইন করেন ৩-০।

দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচে ৫৫তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল পাওয়ার সুযোগ আসে ওলমোর সামনে। কিন্তু ইয়ামালের বাড়ানো পাসে তিনি পা ছোঁয়াতে পারেননি। এর পরপরই রাফিনিয়ার শট গোলরক্ষক দেয়ালে এবং লেভার শট গোলপোস্টে লাগে। রাফিনিয়া অবশ্য বেশিক্ষণ আক্ষেপ রাখেননি, ৬৪ মিনিটে জটলার মধ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। মিনিট আটেক পর পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিকও। এতে অবশ্য দারুণ অবদান ইয়ামালের, এই স্প্যানিশ তরুণ নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে পাস দেন রাফিনিয়াকে। গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়া শটে তিনি ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান।

এরপর ওলমো গোল করেন ৮২তম মিনিটে। প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে আরও এক ডিফেন্ডারকে কাটান। পরে জালকে বলের ঠিকানা বানিয়ে নেন। ভায়াদোলিদের জালে শেষ গোলটি আসে ৮৫ মিনিটে। লেভার বদলি নামা তোরেস রাফিনিয়ার পাস ধরে বক্সে ঢোকেন, এরপর সপ্তম গোল এনে দেন বার্সাকে। এ নিয়ে চার ম্যাচের সবকটিতে জিতেই দলটি ১২ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *