রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি ১৪ ডেঙ্গু রোগী, আইসিউতে দুজন

রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি ১৪ ডেঙ্গু রোগী, আইসিউতে দুজন

রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বেলাল (৩৫), বাগমারা উপজেলার সাকিলা (২০) এই দুইজন হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আলমডাঙ্গার রোকনুজ্জামান নিজ এলাকা ছাড়া বাকিরা ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বেলাল (৩৫), বাগমারা উপজেলার সাকিলা (২০) এই দুইজন হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আলমডাঙ্গার রোকনুজ্জামান নিজ এলাকা ছাড়া বাকিরা ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, হাসপাতাললে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীর চাপ বাড়লে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হবে।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পাবনার ঈশ্বরদীর রাফাত (২৩), নওগাঁর রহিদ (৪০), নগরীর মতিহার থানা এলাকার হাবিবা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের তিন বছরের আরশিয়া, আল আমিন (২৭) ও জেসমীন (১৭), চারঘাটের মুনসুর আলী (৬০), গোদাগাড়ী উপজেলার আতিকুল (৩০), বাঘা উপজেলার সাথী (২০), চুয়াডাঙ্গা সদরের বিপ্লব (৮), দুর্গাপুর উপজেলার বেলাল (৩৫), বাগমারা উপজেলার সাকিলা (২০), নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ওমর আালী (৩১), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মো. রোকনুজ্জামান (৩৫) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে রামেক হাসপাতালটিতে মোট ১৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে ছুটি পেয়েছেন ১৩৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গুতে কেউ মারা না গেলেও আইসিইউতে দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে তিন বছরের আরশিয়া ও ৮ বছরের বিল্পব নামে দুইজন শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রোগীদের বয়স ১৭ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছরের মধ্যে। হাসপাতালটিতে সবচেয়ে পুরানো রোগী গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা সদরের বিপ্লব। এরা সবাই হাসপাতালের ১৩, ১৪, ১৬, ২৪ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিন বছরের আরশিয়ার বাবা আজিম হোসেন বলেন, তিনি চাকরির সুবাদে ঢাকার গুলশানে থাকেন। পরিবারের সদস্যরাও সেখানে থাকেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে আরশিয়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। এরপরে নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

তিনি আরও বলেন, রামেক হাসপাতালে ভর্তির পর পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু পজেটিভ আসে। নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া ও ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলে তার। বর্তমানে সে ভালো আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে আছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। তবে রোগীর চাপ বাড়লে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হবে।

শাহিনুল আশিক/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *