সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যদের ঠেলে দেওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। সেই সঙ্গে তারা পুলিশ হত্যার বিচারও চেয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও ছাত্র আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যদের ঠেলে দেওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। সেই সঙ্গে তারা পুলিশ হত্যার বিচারও চেয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) তারা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন নগরীর বোয়ালিয়া জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনাসদস্যরা তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সরকারের পতন হচ্ছে তা আগের দিনই টের পেয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখন ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তারা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। এর ফলে থানায় ঢুকে ঢুকে পুলিশ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের এসব হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে তারা মনে করেন। এ জন্য তারা ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদেরও বিচার চান। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ৯ দফা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে, তা বাস্তবায়নের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ থেকে আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সমালোচনা করা হয়।
বিক্ষোভের সময় পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকী গিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটবে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ নূরে আলম সিদ্দিকীকে আরএমপি ‘কমিশনারের দালাল’ আখ্যা দিতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন।
এসময় পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও হট্টগোল হয়।
এমন হট্টগোলের মাঝেই ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকীকে পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক দিয়ে নিরাপদে বের করে দেন সেনাসদস্যরা। পরে একজন জ্যেষ্ঠ সেনাসদস্য বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যদের শান্ত করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে কথা বলা যায় নি।
এদিকে একই দাবিতে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। ডিউটি না করে তারা বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি একাডেমির ভেতরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় তারা অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদুর রহমানের ওপর চড়াও হন।
শাহিনুল আশিক/আরকে