রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আলমগীর শেখ তিতুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আলমগীর শেখ তিতুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।
গ্রেপ্তার আলমগীর শেখ তিতু রাজবাড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ২নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে। সে রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও মেয়র নির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।
র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুর গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেছিলেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য রাজিব মোল্লা (২৪)। ওই মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু ৭ নম্বর আসামি ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী কেরামত আলী, কাজী ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু। এতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে