বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও পুলিশের কর্মবিরতি থাকায় থানায় নেই কোনো পুলিশ সদস্য। তাই থানা পাহারায় রয়েছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও পুলিশের কর্মবিরতি থাকায় থানায় নেই কোনো পুলিশ সদস্য। তাই থানা পাহারায় রয়েছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজবাড়ী সদর থানায় গিয়ে তাদের পাহারা দেওয়ার চিত্র চোখে পড়ে। সেখানে আনসার সদস্যের পাশে সেনাবাহিনীকে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী সদর থানায় প্রবেশের দুটি গেটই তালাবদ্ধ। সদর থানার মধ্যে রয়েছে সার্কেল অফিস, ট্রাফিক অফিস, ওসির বাসভবনসহ পুলিশ সদস্যদের থাকার আবাসিক একটি ভবন। সদর থানার ঢোকার প্রথম গেটে একজন আনসার সদস্য ও একজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে বাসে থাকতে দেখা গেছে। অপর গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায় সেটি তালাবদ্ধ। থানার প্রধান ফটকের সামনে সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে থানার গেট বন্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বলেন, গত ৭ আগস্ট থেকে আমরা থানায় দায়িত্ব পালন করছি। কেউ থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসলে আমরা তাদের পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় যোগদান করার পর আসার কথা বলছি। ৮ আগস্ট রাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য থানায় এসে তাদের কিছু পরিধেয় পোশাক নিয়ে গেছেন। তবে পুলিশের কর্মকর্তারা কবে নাগাদ থানায় এসে যোগদান করবেন এ রকম কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি আমরা। আমাদের সাথে ৩-৪ জন সেনাসদস্য পাহারায় রয়েছে।
এদিকে ১১ দফা দাবির আদায়ে গত ৮ আগস্ট ও ৯ আগস্ট রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে জেলার সকল পুলিশ সদস্য বিক্ষোভ করেন। সে সময় তারা ১১ দফা দাবি আদায় না হলে কর্মস্থলে না ফেরার হুঁশিয়ারি দেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর