গত শুক্রবার রাঙামাটিতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনায় সিএনজি, বাস, ট্রাক ভাঙচুরের প্রতিবাদে যৌথ মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন নেতারা।
গত শুক্রবার রাঙামাটিতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনায় সিএনজি, বাস, ট্রাক ভাঙচুরের প্রতিবাদে যৌথ মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন নেতারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, সদর জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরীসহ পরিবহন ও শ্রমিক নেতারা। এতে পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
রাঙামাটি জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চালক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা, আহত শ্রমিক এবং গাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেছেন। প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
তবে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও ইউপিডিএফ-এর সমর্থনে চলা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শনিবার সকাল থেকেই চলছে। পরিবহন ধর্মঘট ও অবরোধের কারণে শনিবার রাঙামাটি থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি পাশাপাশি কোনো গাড়ি রাঙামাটিতে আসেনি। এ ছাড়া নৌপথেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
তবে শনিবার বেলা ১১টার পর থেকেই রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় বন্ধ রাখা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রশাসনের আশ্বাসে খুলেছে।
মিশু মল্লিক/এমজেইউ