জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদ, গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মজিবুল হকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তার দাবি, জাতীয় পার্টি ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি অবৈধ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিজমের দোসর ও সহযোগী হিসেবে সঙ্গ দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদ, গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মজিবুল হকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তার দাবি, জাতীয় পার্টি ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনটি অবৈধ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিজমের দোসর ও সহযোগী হিসেবে সঙ্গ দিয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা এ দাবি জানান তিনি।
শাহদাত সেলিম বলেন, ‘সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন সারাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যায়নি, সেখানে এই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ নেয়। তার আগের অবৈধ ভোটারবিহীন সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন রওশন এরশাদ।’
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গণমাধ্যমে জাতীয় পার্টির ফ্যাসিবাদ তোষণ ও সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে নানারকমের আবেগি ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। মূলত দেশে আধিপত্যবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে হলে ফ্যাসিজমের সরাসরি সহযোগী জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিচার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে সেলিম বলেন, ‘অবিলম্বে বিগত তিনটি গণবিরোধী, ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রধানতম সহযোগী জিএম কাদের, রওশন এরশাদ, মুজিবুল হককে গ্রেপ্তার করতে হবে। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে এই দোসরাও বাদ যাবে না।’
দেশের ইতিহাসের সামনে উপমা তৈরি করতে হবে যে, ফ্যাসিজমকে সহায়তা করলে জনগণ তার বিচার করে বলে মন্তব্য করেন সেলিম।
মতবিনিময়ে বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটো, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাসারসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচআর/জেডএস