কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ, মামলা, নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মোমবাতি জ্বালিয়ে ‘আলোর দ্রোহ’ করেছেন রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নেন। শহীদ বেদিতে অবস্থান নিয়ে সংস্কৃতিকর্মী ও আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ, মামলা, নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মোমবাতি জ্বালিয়ে ‘আলোর দ্রোহ’ করেছেন রংপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নেন। শহীদ বেদিতে অবস্থান নিয়ে সংস্কৃতিকর্মী ও আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গ্রেফতার হওয়া সকল শিক্ষার্থীসহ নিরীহ মানুষের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমনপীড়ন বন্ধ, কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, উসকানিমূলক মন্তব্য প্রদানকারী এমপি-মন্ত্রীদের পদত্যাগ ও প্রাণহানির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
শহীদ মিনারের বেদিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীরা মোমবাতি ও মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। শেষে শহীদ মিনার চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। রোববার আবারও একই স্থানে বিকাল ৪টায় সবাইকে উপস্থিত থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুলের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে। সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রঘোষিত ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি পালন করতে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেইনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করেছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে