রংপুরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রংপুরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে অভিযানের সময় পাইকারি দামের সঙ্গে খুচরা পর্যায়ে দামের বড় ব্যবধানের অভিযোগে তিন ডিম ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করাসহ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় একটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে সরকারি এ সংস্থাটি।
এদিন রংপুর সিটি বাজার, মিনি সুপার মার্কেট, বাহার কাছনা ও কামালকাছনা বাজার এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রয় করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা বিভিন্ন অপরাধে মিনি সুপার মার্কেটের রংপুর ডিম ঘরকে পাঁচ হাজার টাকা, সিটি বাজারের হাফিজ ডিম ঘরকে তিন হাজার টাকা, কামাল কাছনা বাজারের রবিউল ডিম ঘরকে এক হাজার ৫০০ টাকা সর্বমোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে ডিম বিক্রয় করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ইত্যাদি অপরাধে বাহারকাছনা এলাকায় অবস্থিত প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ডিমের আড়তটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রংপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন। অভিযানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রংপুর আঞ্চলিক ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, সরকারের দেওয়া নির্ধারিত দামে লাল মুরগির ডিম খুচরা পর্যায়ে ৫২ টাকা হালির পরিবর্তে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা করে বিক্রি করেন তারা। এ কারণেই তাদের এই জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপন্যের দাম সহনীয় রাখাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে অভিযানের মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএমকে