নাটোরের গুরুদাসপুরে রফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আহত যুবদল নেতার স্ত্রী নুসরাত সুলতানা।
নাটোরের গুরুদাসপুরে রফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আহত যুবদল নেতার স্ত্রী নুসরাত সুলতানা।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পোয়ালশুড়া দড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রফিকুল ইসলাম বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, রোবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হাতে ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব, মুনকার হোসেনসহ অন্তত ১০ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পরে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলাকারী সকলেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সমর্থক।
আহত যুবদল নেতাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে এসে গুরুদাসপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বিপ্লব জানান, এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। অতিদ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে জড়িয়ে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই আমার নাম বলছেন তারা।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণে এ হামলা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা বলতে পারছি না। স্থানীয় বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানী/আরএআর