যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে নতুন ও কঠোর শর্ত ইসরায়েলের

যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে নতুন ও কঠোর শর্ত ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। তবে দখলদার ইসরায়েল এই চুক্তিতে নতুন ও কঠোর শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। তবে দখলদার ইসরায়েল এই চুক্তিতে নতুন ও কঠোর শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, তারা ইসরায়েলের আলোচনাকারীদের নথি থেকে জানতে পেরেছে, ইসরায়েল মধ্যস্থতাকারীদের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে নতুন শর্তের ব্যাপারে অবহিত করে। শর্তের মধ্যে রয়েছে— ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ করবে এবং উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেবে না।

তবে এই নতুন শর্ত ইসরায়েলি আলোচনাকারী দলকেই শঙ্কিত করে তুলেছে। তাদের আশঙ্কা, এগুলো যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।

তবে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর নতুন শর্ত আরোপের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। নেতানিয়াহুর অফিস দাবি করেছে, এর বদলে তারা ‘প্রয়োজনীয় স্পষ্টকরণের’ কথা বলেছে যেটির মাধ্যমে জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর করা যাবে।

গত ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দেন। এতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ রাখবে এবং ধীরে ধীরে সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে। অপরদিকে হামাস তাদের কাছে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

হামাস বাইডেনের প্রস্তাব মেনে নিলেও ইসরায়েল মানেনি। তারা গাজায় তাদের গণহত্যা এখনো অব্যাহত রেখেছে। গাজায় ইসরায়েলিদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *