যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘উষ্ণ’ সম্পর্কের কথা জানালেন উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘উষ্ণ’ সম্পর্কের কথা জানালেন উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই টানাপোড়েন কেটে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই টানাপোড়েন কেটে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কার সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে, আর কার সঙ্গে খারাপ হয়েছে—এমন প্রশ্ন রাখা হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, বিগত সরকারের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটু টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল। এটা আমরা জানি সবাই। অস্বীকার করার কোনো অর্থ হয় না। আমি মনে করি সেই জিনিসটা কেটে গেছে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের একটা নীতি আছে; সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। সেক্ষত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় একটা টানাপোড়েন ছিল। সেটা ছিল এটার ব্যত্যয়। সেটাকে আমার মনে হয় কানেক্ট করতে পেরেছি।

সম্পর্কের উষ্ণতা নিয়ে কথা বললেও খারাপ সম্পর্ক কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তৌহিদ হোসেন।

মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাতে সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ছিলেন। সেজন্য ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

বৈঠক পিটার হাসের উপস্থিতি নিয়ে করা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, উনি (পিটার হাস) ওভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি ওভাবে। উনি একটা প্রতিনিধির অংশ ছিলেন। প্রতিনিধিদলের নেতা ছিলেন না। তিনি চাকরি করেন। তার সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়নি। জাস্ট হাত মেলানো…। অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রধান আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।

উপদেষ্টা বলেন, এই অঞ্চলে প্রধানের (অ্যাকসিলারেট এনার্জির) সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে। তার চেয়ে বেশি হয়েছে জ্বালানি উপদেষ্টার। কারণ, তাদের এখানে বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে, যাতে আমাদের গ্যাসের শটেজ মিট করা যায়; এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। প্রতিনিধিদল একেবারে বিজনেস ডেলিগেশান ছিল, যার কারণে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো কথাবার্তা হয়নি।

প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বর্তমানে অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।

এনআই/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *