যারা পুলিশকে ঢিল ছোঁড়ে তারা ছাত্র হতে পারে না : অপরাজিতা

যারা পুলিশকে ঢিল ছোঁড়ে তারা ছাত্র হতে পারে না : অপরাজিতা

ওপার বাংলায় ‘ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল চারদিক। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তারা। প্রশাসনের তরফে আন্দোলনকারীদের আটকাতে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যাবহার করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতেও বাঁশ, ইট দিয়ে পালটা আক্রমণ করতে দেখা যায়।

ওপার বাংলায় ‘ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল চারদিক। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তারা। প্রশাসনের তরফে আন্দোলনকারীদের আটকাতে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যাবহার করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতেও বাঁশ, ইট দিয়ে পালটা আক্রমণ করতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার রাত থেকে, ‘ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা করেছেন টলিউডের বেশ কিছু তারকা। এদিকে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট করে বলেন যারা পুলিশকে ঢিল ছোঁড়ে তারা ছাত্র হতে পারে না বলে দাবি করেছেন।

যারা ঢিল ছোঁড়ে তারা কখনও ছাত্র সমাজ হতে পারে দাবি করে অপরাজিতা লিখেছেন, ‘ছাত্র সমাজের ডাক মানে হল শিক্ষার ডাক, শিক্ষিতের ডাক ,আলোর ডাক, ভিতরের অন্ধকার মুছে ফেলে আলোর উন্মোচনের ডাক, সমাজকে সচেতন করে শীত ঘুম ভাঙ্গানোর ডাক। নূতন যৌবনের দূতদের ডাক। তারা বুক পাততে জানে। তারা পুলিশকে ঢিল ছুঁড়তে পারে এটা আমি বিশ্বাস করি না। যারা ঢিল ছোঁড়ে তারা কখনও ছাত্র সমাজ হতে পারে না।’ 

এ অভিনেত্রী লিখেছেন, সত্যিই যারা ছাত্র সমাজ এবং যারা সেই সমাজের প্রতিমূর্তি এটা তাদের কলঙ্কিত করা এবং কলুষিত করা। জানি আমার এই বক্তব্যের বিপক্ষে যুক্তি দেয়ার প্রচুর লোক আছেন কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করি আমাদের নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। 

পোস্টের শেষে অপরাজিতার ভাষ্য, ‘যে ছাত্র সমাজ মেডিকেল এর ছাত্ররা সক্রিয় ভাবে আরজি কর আন্দোলনটা করছেন করছেন তাদের আবেগকে ধাক্কা দেওয়ার অধিকার কারোর নেই। সেটা কোন রাজনৈতিক দলেরও নেই, সেটা কোন মাধ্যমের ও নেই। সেটা কোনো মানুষেরও নেই। এই ধরনের আচরণ শুধুই মনুষ্যত্বের অপমান।’ 

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এমআইকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *