যশোরের মণিরামপুরের উত্তর লাউড়ী গ্রামের বিএনপির কর্মী আনিচুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৬০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
যশোরের মণিরামপুরের উত্তর লাউড়ী গ্রামের বিএনপির কর্মী আনিচুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৬০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিহত আনিচুরের ভাই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে যশোর আদালতে মামলাটি করেছেন।
এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ। বাদীর আইনজীবী এমএ গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- হাকোবা গ্রামের গোলামের ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, সুনীল ঘোষের ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়রাম্যান বাচ্চু, সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে সাদাব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে শুভ, শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর, সাবেক চেয়ারম্যান মরিুজ্জামান মনি, মণিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান, উত্তর লাউড়ী গ্রামের নীরপদর ছেলে আরাধন ঘোষ, অতিজ ঘোষের তিন ছেলে রিপন, সুমন, সুজন, হামিদ শেখের ছেলে ইদ্রিস আলী, গোবিন্দ কুমারের ছেলে মিলন, অভিন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে মোনরঞ্জন ঘোষ, মৃত জাহান আলী গাজীর চার ছেলে বাবলু, ভুট্টো, রফিকুল, শফিকুল, ফজলুর ছেলে আহাদ আলী, মৃত গোলাম রহমানের ছেলে মকলেসুর রহমান মুকুল, গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মুকিত, গৌর ঘোষের ছেলে দীপক, মুছার ছেলে বিল্লাল, আজিজের ছেলে রাজ্জাক, সাত্তারের ছেলে আনার, সুকুমার ঘোষের ছেলে লিটন ঘোষ, মুজাম আলীর ছেলে আবুল হোসেন, হামিদের ছেলে কাশেম, মকছেদের ছেলে কামরুল, জামালের ছেলে আমিনুর, নুর আলীর ছেলে আলীম, আজিবরের ছেলে জসিম, গোবিন্দর ছেলে সাধু, মোহম্মদের ছেলে করিম, সাধুর ছেলে সুমন, নিরাপদ ঘোষের ছেলে অজিত ঘোষ, দক্ষিণ লাউড়ী গ্রামের বদী নাথ ঘোষের ছেলে দীপক, সুন্দলপুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে শাহিন, আলীর ছেলে আহাদ আলী, মাঝ লাউড়ী গ্রামের মোসলেমের ছেলে ইমরান, মান্নানের দুই ছেলে আসাদ, তৌহিদ, ঘুঘুরাইল গ্রামের খালেকের ছেলে মুকুল, কাশিপুর গ্রামের হাসান বারীর ছেলে ফয়সাল, খোদা বক্সের ছেলে ইউনুস আলী, গরীবপুর গ্রামের শফি কামালের দুই ছেলে জুয়েল, সেলিম, আরশাদের চেলে ইউছুফ আলী, আরশাদ আলীর দুই ছেলে হাসেম আলী, নুর আলী,কাশিপুর গ্রামের গিনিনের ছেলে অরবিন্দ, তোফাজ্জেলের ছেলে আশিকুর রহমান, আহম্মদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, ডাঙ্গা মাসনা গ্রামের জামাল গাজীল ছেলে মফিজুর রহমান ও হেলাঞ্চি গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে আব্দুল আলিম জিন্নাহ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মণিরামপুরের উত্তর লাউড়ী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আইনিচুর রহমান বিএনপির কর্মী ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ভোরে আসামিরা আনিচুরের বাড়িতে হামলা চালান। আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের নির্দেশে অপর আসামিরা আনিচুরকে কুপিয়ে গুরুত্ব জখম করেন। এরপর আসামিদের সহযোগিতায় মণিরামপুর থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব কুমার নাথ তার পায়ে গুলি করে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। আনিচুরের স্বজনেরা পরে জানতে পারেন, তার লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আছে। আসামিরা ক্ষমতাশীল দলের সদস্য হওয়ায় তখন থানা আদালতে এ বিষয়ে মামলা করা যায়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় এ মামলাটি করা হয়েছে।
এ্যান্টনি দাস অপু/এফআরএস