শেষ মুহূর্তের গোলে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) জয়ের ধারা ধরে রেখেছে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের ইন্টার মায়ামি। তাতে চলতি মৌসুমে লিগ টেবিলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৭২–এ। আর একটি পয়েন্ট পেলেই ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটি এমএলএস–এ ইতিহাস গড়বে। যদিও এর আগে মেসি নিজের ৪৭তম শিরোপা জয়ের আশায় সেই রেকর্ডও বিসর্জন দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন।
শেষ মুহূর্তের গোলে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) জয়ের ধারা ধরে রেখেছে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের ইন্টার মায়ামি। তাতে চলতি মৌসুমে লিগ টেবিলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৭২–এ। আর একটি পয়েন্ট পেলেই ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটি এমএলএস–এ ইতিহাস গড়বে। যদিও এর আগে মেসি নিজের ৪৭তম শিরোপা জয়ের আশায় সেই রেকর্ডও বিসর্জন দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন।
টরোন্টো এফসির বিপক্ষে আজ এমএলএসের প্লে-অফ ম্যাচে মুখোমুখি হয় মায়ামি। যেখানে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেই ম্যাচের ডেডলক ভেঙে মায়ামিকে জয়ের উপলক্ষ্য এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা। তাকে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত একটি ক্রস দিয়েছিলেন বদলি নামা লুইস সুয়ারেজ। সেটি ঊরু দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অসাধারণ এক ভলিতে গোলটি করেন কাম্পানা। আর তাতেই ১-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় মায়ামির।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন মেসি-সুয়ারেজরা। কোচ জেরার্দো টাটা মার্টিনো জয়ের আশায় ৬০ মিনিটের পর তাদের মাঠে নামান। এমনকি শুরু থেকে ছিলেন না আরও দুই সাবেক বার্সেলোনা তারকা সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবা। তবুও জয়হীন থেকেই শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় ছিল ম্যাচটি। তবে শেষদিকে ইকুয়েডিয়ান কাম্পানার গোলে দৃশ্য বদলে যায়।
আগের ম্যাচ জিতে মেসিরা জিতেছিলেন সাপোর্টাস শিল্ড শিরোপা। এমএলএস–এ দুটি মূল ট্রফির একটি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। আরেকটি হলো এমএলএস কাপ। নিয়মিত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচজুড়ে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পায় এই সাপোর্টার্স শিল্ড। মায়ামির প্রথমবার এই প্রাপ্তি মেসির ঝলমলে ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি। যেটিকে আরও বাড়াতে চান মেসি। এমনটা তার সাম্প্রতিক মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে।
অ্যাপল টিভিকে দেওয়া এক মন্তব্যে মেসি বলেন, ‘পয়েন্ট রেকর্ড আমার কাছে সেকন্ডারি, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্লে-অফে ভালো করা। প্রথমে আমাদের তিনটি ম্যাচ পেরোতে হবে, কিন্তু এরপর এলিমিনেশন কিংবা যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমাদের এই মুহূর্তে বড় সুবিধা হচ্ছে (আসন্ন ম্যাচ) আমরা ঘরের মাঠে খেলতে পারব। যেখানে আমরা অনেক শক্তিশালী, তবে এখনও আমরা যে জিততে পারি সেটা এবারও প্রমাণ করতে হবে।’
এদিকে, আজকের জয়ে মায়ামির পয়েন্ট হয়েছে ৩৩ ম্যাচে ৭১। পরের ম্যাচ জিতলেই এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড হবে টাটা মার্টিনোর দলের। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে রেকর্ডটি এখনও রয়েছে নিউ ইংল্যান্ড দলের দখলে। তারা ২০২১ সালে সেই কীর্তি গড়েছিল। মায়ামি সেই রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যে পরের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ড দলেরই মুখোমুখি হবে। মায়ামির ঘরের মাঠে সেই ম্যাচটি হবে ১৯ অক্টোবর।
এএইচএস