মুন্সীগঞ্জে প্রখর রোদে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ময়লা পরিষ্কার করতেও দেখা যায় তাদের। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট, কাচারি চত্বর, শহরের অদূরে সিপাহীপাড়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রখর রোদের মধ্যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ছাতাবিহীন পিঠে জাতীয় পতাকা বেঁধে কোনো সুরক্ষা ছাড়াই সড়কের মধ্যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কিছু ব্যবসায়ীদেরও স্বেচ্ছায় এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
মুন্সীগঞ্জে প্রখর রোদে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ময়লা পরিষ্কার করতেও দেখা যায় তাদের। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট, কাচারি চত্বর, শহরের অদূরে সিপাহীপাড়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রখর রোদের মধ্যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ছাতাবিহীন পিঠে জাতীয় পতাকা বেঁধে কোনো সুরক্ষা ছাড়াই সড়কের মধ্যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কিছু ব্যবসায়ীদেরও স্বেচ্ছায় এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টার দিকে শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন। ময়লা পরিষ্কারের পর একটি টিম নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। অপর একটি টিম মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট, কাচারি চত্বর শহরের অদূরে সিপাহী পাড়ায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তারা এই দায়িত্ব পালন করেন বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান। এভাবে তারা সারাদিন শিফট করে এ দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় দেখা যায়, প্রখর রোদে বেশ কিছু পানির বোতল সুপার মার্কেটের ভাস্কর্যের উপরে রাখেন শিক্ষার্থীরা। একটু পরপরই তারা পানি খেয়ে নিচ্ছেন আর দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ম মেনেই সড়কে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে চালকদের। কোনোরকম ছাড় দিচ্ছেন না তারা। দুই দিন পরে আজ মুন্সীগঞ্জ শহরের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক গাড়ির দেখা মিলেছে। তবে রাস্তায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক থাকায় অন্যদিনের মতো যানজট নেই সড়কে। শিক্ষার্থীরা রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে দুটি গাড়ির লাইন তৈরি করে রাখেন সড়কে। ওভারটেকিংয়ের কোনো সুযোগ দিচ্ছেন না তারা। ফলে সারিবদ্ধভাবে সুশৃঙ্খলভাবে গাড়িগুলো চলছে, রাস্তায় ভোগান্তি কমেছে যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবির হোসেন বলেন, আমরা সকাল হতে সড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছি। যতদিন না দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ না আসা পর্যন্ত আমরা এ দায়িত্ব পালন করবো।
মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান বলে, সকাল ৯টা থেকে আমি রাস্তায় যানজট নিরসনে কাজ করছি। আমার বড় ভাইয়েরা আছেন তাদের সঙ্গে কাজ করতে খুব আনন্দ লাগছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি সাবেক হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র । আমার ভাই-বোনেরা প্রখর রুদ্রের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে। আমিও তাদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। খুব ভালোই লাগছে যে দেশের জন্য কিছু একটা করতে পারছি। যতদিন ট্রাফিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু না হবে আমরা ততদিন দায়িত্ব পালন করব।
ব.ম শামীম/এএমকে